বীমা এ চারটি ক্ষেত্রে পৃথক দরপত্র আহ্বান করা হবে। এই দরপত্র কী প্রক্রিয়ার আহ্বান করা হবে তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা চলছে।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনে বীমা করার বিষয়ে জিয়া আহমেদ বলেন, উৎক্ষেপণের প্রতিটি প্রক্রিয়ায় বিশাল অংকের টাকা বিনিয়োগ করতে হবে, এই বিনিয়োগের টাকার নিশ্চয়তার জন্যই বীমা করা হবে।
কবে নাগাদ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দরপত্র আহ্বান করা হবে তা নির্দিষ্টভাবে জানাতে না পারলেও জিয়া আহমেদ বলেন, খুব শিগগিরই দরপত্র আহবানের জন্য চেষ্টা চলছে, এ জন্য বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।
বিটিআরসির সূত্র মতে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
গত ২৯ মার্চ বিটিআরসি কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ায় অংশ হিসেবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু জানন, তিন বছরের মধ্যে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণ করা হবে।
বাজার মূল্যায়ন, বাজারজাতকরণ, বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ, গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। এজন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসপিআইকে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা দিতে হচ্ছে।
‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষপণের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অংশ হিসেবে পরামর্শক বিষয়ক প্রজেক্ট অফিসের কাজ শুরু হয়েছে গত ফেব্র“য়ারি মাসে। বিটিআরসি ভবনের ৫তম তলায় প্রকল্প কার্যালয়ের কাজ শুরু হয়েছে এবং প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিটিআরসি উপ-পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাককে।
বর্তমানে দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট এবং রেডিওগুলো বিদেশি উপগ্রহের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছে। বিটিআরসির হিসাবে, প্রতিটি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ডলার দিয়ে থাকে। বর্তমানে ১৯টি টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪০ লাখ ডলার ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের নিজস্ব উপগ্রহ চালু করতে পারলে ভাড়া বাবদ অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম
No comments:
Post a Comment