আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কের কালিমালিপ্ত একটি দিন আজ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতীয় স্বাধীনতাসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কয়েকজন চক্রান্তকারী সেনাসদস্য সপরিবারে হত্যা করেন। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নারী-শিশুরাও রেহাই পায়নি ঘাতকদের হাত থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংসতম ও
গভীর মর্মস্পর্শী সেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের আজ ৩৬তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। অতীতে নানা রকম বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে ১৫ আগস্ট পালিত হলেও এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। আদালতের রায়ে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সাল থেকে সরকারিভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। হত্যাকারী কয়েকজনের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
১৯৭৫ সালের পর প্রথম ২১ বছর ১৫ আগস্ট পালিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় অবহেলায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছয় বছর দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়। তবে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার যাঁরা: ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিয়েছিল তাঁর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুছেলে শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলের প্রাণ। দেশের বাইরে থাকায় ঘাতক চক্রের হাত থেকে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
রাষ্ট্রপতির বাণী: রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান গতকাল এক বাণীতে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হলেও জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী ঘাতকদের বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন হয়েছে। জাতি আজ অনেকটা কলঙ্কমুক্ত। যেসব মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘাতক আজও বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাতে হবে। জাতি জানবে, হত্যাকারীদের ঠাঁই পৃথিবীর কোথাও নেই।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তাঁর বাণীতে বলেন, ২০০১ সালের অক্টোবরের কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা দখল করে লুটেরা রাজনীতি কায়েম করে। স্থবির হয়ে পড়ে উন্নয়নের চাকা। আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে সারা দেশে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক শান্তিকামী ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবশ্যই জয়ী হতে হবে।
সরকারি কর্মসূচি: ১৫ আগস্ট উপলক্ষে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, আজ সারা দেশে সাধারণ ছুটি থাকবে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
দিনের শুরুতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শাহাদাতবরণকারী জাতির জনকের পরিবারের সদস্য ও অন্য শহীদদের কবরে (ঢাকার বনানী কবরস্থানে) পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন। প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফাতিহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বিশেষ মিলাদ মাহফিল করা হবে।
এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারা দেশের মসজিদসমূহে বিশেষ মোনাজাত, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা করা হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচি: শোক দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে টুঙ্গিপাড়ায় শোক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ছয়টায় দলের জেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হবে। আজ দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন।
গভীর মর্মস্পর্শী সেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের আজ ৩৬তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। অতীতে নানা রকম বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে ১৫ আগস্ট পালিত হলেও এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। আদালতের রায়ে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সাল থেকে সরকারিভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। হত্যাকারী কয়েকজনের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
১৯৭৫ সালের পর প্রথম ২১ বছর ১৫ আগস্ট পালিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় অবহেলায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছয় বছর দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়। তবে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার যাঁরা: ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিয়েছিল তাঁর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুছেলে শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলের প্রাণ। দেশের বাইরে থাকায় ঘাতক চক্রের হাত থেকে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
রাষ্ট্রপতির বাণী: রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান গতকাল এক বাণীতে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হলেও জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী ঘাতকদের বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন হয়েছে। জাতি আজ অনেকটা কলঙ্কমুক্ত। যেসব মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘাতক আজও বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাতে হবে। জাতি জানবে, হত্যাকারীদের ঠাঁই পৃথিবীর কোথাও নেই।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তাঁর বাণীতে বলেন, ২০০১ সালের অক্টোবরের কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা দখল করে লুটেরা রাজনীতি কায়েম করে। স্থবির হয়ে পড়ে উন্নয়নের চাকা। আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে সারা দেশে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক শান্তিকামী ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবশ্যই জয়ী হতে হবে।
সরকারি কর্মসূচি: ১৫ আগস্ট উপলক্ষে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, আজ সারা দেশে সাধারণ ছুটি থাকবে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
দিনের শুরুতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শাহাদাতবরণকারী জাতির জনকের পরিবারের সদস্য ও অন্য শহীদদের কবরে (ঢাকার বনানী কবরস্থানে) পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন। প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফাতিহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বিশেষ মিলাদ মাহফিল করা হবে।
এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারা দেশের মসজিদসমূহে বিশেষ মোনাজাত, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা করা হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচি: শোক দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে টুঙ্গিপাড়ায় শোক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ছয়টায় দলের জেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হবে। আজ দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন।
সংগ্রহ : প্রথম আলো
No comments:
Post a Comment