Sunday, August 28, 2011

শিশুর ঘাতককে রোষানল থেকে বাঁচাতে অভিযান : শাজাহানপুরে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র : সাংবাদিকসহ আহত ২৭

বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামে এক শিশু হত্যাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি ও ১১ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপের করেছে। বিক্ষুব্ধ জনতার ইটের আঘাতে সাংবাদিক ও থানার অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদসহ ৭ পুলিশ আহত হয়েছে। এছাড়া পুলিশের
লাঠিপেটায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা এক সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়াসহ পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে। আহত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয় ক্লিনিক ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। দুপুর ১টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। ঘটনায় জড়িত ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন উপজেলার ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলে আবদুল খালেক ও রফিকুল ইসলামের ছেলে আবদুল মাজেদ।
২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই গ্রামের মাহবুবার রহমানের ছেলে রোমান হোসেন (৫) বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় রোমানের দাদা বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। গতকাল সকালে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী ২ জনকে আটক করে। এ সময় তাদের স্বীকারোক্তিতে পরিত্যক্ত একটি বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকি থেকে রোমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে যেতে চাইলে উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয়রা এ সময় আটক ২ ব্যক্তিকে পিটুনি ও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয় জনতার সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি ও ১১ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ক্ষুব্ধ জনতার ছবি তুলতে গেলে এক সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে পুলিশের গাড়িতে করে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ চালানো হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে ওসিসহ ২০ জন আহত হয়েছে। দুপুর পৌনে ১টায় বিপুলসংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিবেশ শান্ত হয়। পরে নিহত রোমানের লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

No comments:

Post a Comment